Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
রোকসানা আক্তার, জৈবসার ও ভার্মি কম্পোস্ট বিষয়ে সৃষ্ট নারী উদ্যোক্তা_২০২৩-২০২৪
ছবি
ডাউনলোড


ভার্মি কম্পোস্টঃ
  কেঁচো কম্পোস্ট সার হল এক ধরনের জৈব সার যা কেঁচোর সাহায্যে তৈরি করা কম্পোস্টেড সার। এটি নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এতে অপরিহার্য খনিজ উপাদান রয়েছে যা এটিকে পুষ্টিকর উদ্ভিদের জন্য একটি আদর্শ সার করে তোলে।কেঁচো সার ব্যবহার করা সহজ এবং সরাসরি মাটিতে প্রয়োগ করা যায় বা অন্যান্য জৈব পদার্থের সাথে মিশ্রিত করা যায়। এটি রাসায়নিক সারের তুলনায় কম ব্যয়বহুল, এবং মাটির জৈব পদার্থ তৈরি করতে সাহায্য করে, এর গঠন এবং উর্বরতা উন্নত করে। এটি স্বাভাবিকভাবেই ধীরে ধীরে পুষ্টি মুক্ত করে, যা একটি সুস্থ রুট সিস্টেমকে উন্নীত করতে এবং পুষ্টির কম লিচিং করতে সাহায্য করে।

ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদনে শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা


নামঃ রোকসানা বেগম

ইউনিয়নঃ পূর্বএনায়েতনগর
গ্রামঃ কালাইসরদারেরচর


কেস স্টাডি

আমি রোকসনা বেগম, পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাইসরদারেরচর গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমি ২০১৬ সালে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে কেঁচোর উৎপাদন শুরু করি। এর আগে আমি নিজস্ব উদ্যোগে গাদা কম্পোষ্ট উৎপাদন করলেও তেমন কোন সফলতা পাইনি। ২০১৭ সাল থেকে উপজেলা কৃষি অফিস, কালকিনি’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমার কেঁচো সার উৎপাদন বানিজ্যিক ভাবে শুরু করি। শুরুতে বেশ কিছু কারিগরি সমস্যার সম্মুখীন হলে তা সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে সমাধান হয়। পূর্বে উৎপাদন কম হলেও বর্তমানে আমার কেঁচোসার উৎপাদনের পরিমান বেশ ভালো। এখন আমার প্রতিমাসে কেঁচো সার বিক্রয় করে ২১,০০০/- থেকে ২২,০০০/- টাকা আয় হয়। এছাড়াও কেঁচো সার উৎপাদনে যে কেঁচো দরকার হয় সেটাও বিক্রি করে বেশ টাকা উপার্জন করি।  সব মিলিয়ে আমি এ যাবত ৮,০০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/- টাকা আয় করেছি। আমার দেখাদেখি আমার বাড়ির আশে-পাশের প্রায় ৫০-৬০ জন মহিলা এই কেঁচো সার তৈরীর কার্যক্রম শুরু করেছেন। আমি এই কাজ করে বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল ও খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জানতে পেরেছি মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সারের বিকল্প নেই। কেঁচো সার ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বাড়ে, মাটির গুনগত মান বজায় থাকে। এছাড়াও মাটিতে যে হারে জৈব পদার্থের পরিমান কমে যাচ্ছে সেজন্য আমাদের প্রচুর পরিমান জৈব সার ব্যবহার করা দরকার।  আমি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমার এলাকার লোকদের সাথে আলাপ করেছি এবং তারাও এ বিষয় গুলো জানতে পেরে আমার মত কেঁচো সার উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে এবং করছে। যা দেখে আমি খুব আনন্দিত। আমার এই কার্যক্রম পরিদর্শন করতে ডিসি, মাদারীপুর; উপজেলা চেয়ারম্যান, কালকিনি; অতিরিক্ত পরিচালক, ফরিদপুর; উপপরিচালক, মাদারীপুর এবং উপজেলা কৃষি অফিসার সহ আরো অনেক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে এসেছেন। সকলেই আমার কার্যক্রম দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বর্তমানে আমার এখানে এই ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার  উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালু থাকায় আমাদের গ্রামটি সকলের কাছে “ভার্মি কম্পোষ্ট ভিলেজ” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যার জন্য আমি সত্যিই গর্ববোধ করি।